ভিডিও গেমস, বাবা-মায়ের কাছে কেন যেন এক আতঙ্কের নাম, সন্তান ভিডিও গেমস খেললেই অনেকে একে নেশার সাথেও তুলনা করে থাকে। প্রয়োজনের বেশি কোন কিছুই ভাল না , তবে পরিমিত ভিডিও গেমস খেলা মানসিক স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী।
অক্সফোর্ডের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভিডিও গেমস খেলা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গবেষক দল তাদের গবেষণায় সীমিত পরিমান গেমস খেলার ফলে গেমারদের মানসিক স্বাস্থ্যে বেশ খানিকটা ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করতে পেরেছেন।
ভিডিও গেমস শুধু যে গেমারদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দায়ী শুধু তাই নয়, এর অন্যান্য ভাল দিকের মাঝে আরও আছে, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে খুব সহজে , গেমারদের সমস্যা সমাধান করার দক্ষতাও তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়ে থাকে এবং তারা তথ্যও মনে রাখতে পারে বেশি। ভিডিও গেম প্লেয়াররা বেশ মিশুক হয়ে থাকেন। গেমিং কমিউনিটি সোশ্যালাইজিং ব্যাপারকে নিয়ে যাচ্ছে অন্য একটি পর্যায়ে। টুইচ, ফেসবুক গেমিং এমনকি ডিসকোর্ড এর মত বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে গেমারদের জন্য। এই সব যোগাযোগ মাধ্যমে তারা তাদের মতামত , গেমিং স্টাইল , স্ট্র্যাটেজি এমনকি বিভিন্ন তথ্য ও আদান প্রদান করতে পারে। এমনকি আছে ইন গেম চ্যাটিং, খেলা চলাকালিন যোগাযোগ হয়ে থাকে প্লেয়ারদের মাঝে, এতে করে পারস্পারিক সম্প্রীতি, টীম প্লেয়িং এবং ভ্রাতৃত্ব স্থাপিত হয়ে থাকে এর ফলে তারা একাকীত্ব অনুভব করে না।
অবিভাবকদের তাদের সন্তানদের নিয়ে সবথেকে বড় চিন্তার জায়গা হল সন্তানের গেমস খেলা নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা, সন্তান কি আদৌ এই গেমিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবে? বর্তমানে গেমিং কে একটি ভাল ক্যারিয়ার পাথ ও বলা চলে, অনেক গেমার আছে যারা এখন তাদের গেমিং কে প্রফেশনাল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। দেশ- বিদেশে অনেক টুর্নামেন্ট হয়ে থাকে, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্লেয়াররা অংশগ্রহণ করে থাকে এবং টুর্নামেন্ট বিজয়ীরা সেখানে মোটা অংকের প্রাইজ পেয়ে থাকেন। এমনকি বিভিন্ন ভেন্ডর , ব্র্যান্ড তাদের কে স্পন্সরশীপ দিয়ে থাকে।
পরিমিত ভিডিও গেমস খেলা, উপভোগ করা শুধু সময় নষ্ট এমন বলাটা এখন আর যুক্তিসঙ্গত নয়। কারন, এই সম্ভাবনাময় একটি সেক্টর যা দিনকে দিন আকাশচুম্বী। ভিডিও গেমিং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে এরই সাথে আয় করার জন্য একটি ভাল সেক্টরে রূপান্তরিত হয়ে নবীনদের অনেক সুযোগ করে দিচ্ছে।
ভিডিও গেমিং বিষয়টাকে অনেকে খারাপ ভাবে নিলেও , এর উপকারী দিক গুলোকে তারা উপেক্ষা করতে পারবে না। ভিডিও গেম আসক্তি বিষয়টিকে ভিডিও গেমিং এর সাথে মেলানো বিষয়টা সঠিক নয়। যেখানে বিশ্বের অনেক দেশেই ভিডিও গেমসকে একটি ইতিবাচক মাধ্যম হিসেবে দেখছে এতে করে আমাদেরও উচিৎ বিষয়গুলোকে ভেবে দেখা।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.