রেজার ব্লেড স্টেলথ রিভিউ।

১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৪৩:৫২
রেজার ব্লেড স্টেলথ  রিভিউ।
রেজার ব্লেড স্টেলথ রিভিউ।

Projukti.com.bd তে আপনাকে স্বাগতম। আশা করি ভালই আছেন সবাই। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো রেজার ব্লেড স্টেলথ  মডেলের ল্যাপটপ নিয়ে।

১।আউটলুক

 প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটির জন্য আল্ট্রাবুকটির লুক এন্ড ফিল বেশ প্রিমিয়াম। ইউনিবডি এলুমিনিয়াম চ্যাসিসের ল্যাপটপটির বডি এনোডাইজড ম্যাট-ব্লাক ফিনিশের করা এবং আল্ট্রাবুকের লিডে রেজরের লোগো আছে যাতে এবার কোন ব্যাকলিট দেয়া হয় নি, প্রিভিয়াস মডেলের ল্যাপটপের মত। লাইটিং ছাড়া এই ব্রান্ডিং অনেকের কাছে ভাল না লাগলেও আমার কাছে বেশ স্লিক মনে হয়েছে।

তবে প্রিভিয়াস মডেলের তুলনায় ল্যাপটপটি অনেক পাতলা করা হয়েছে যার জন্য এইসব অপ্রয়োজনীয় জিনিশ বাদ দিয়েছে রেজর।  ল্যাপটপের নিচে ফ্যানের জন্য ভেন্টস এবং একটি রাবার প্যাড আছে গ্রিপের জন্য।

ল্যাপটপের লিড খুললেই প্রথমে চোখ পড়বে এর ন্যারো বেজেলের ডিস্প্লের দিকে। ডিস্প্লে প্রসংগে পরে আসছি। কীবোর্ডের দুইপাশে দেয়া আছে স্পিকার গ্রীল। কীবোর্ডটির লেআউট সামান্য চেঞ্জ করা হয়েছে যাতে রাইট এন্টার, রাইট শিফট বাটনকে ছোট করে ফেলা হয়েছে। যারা রাইট শিফট কি ব্যবহারে অভ্যস্ত তাদের কাছে এই লে আউট ভালো লাগার কথা নয়। পারসোনালি ব্যপারটি নিয়ে আমি খুব একটা বদার্ড নই। এন্টার বাটনটি ছোট হলেও তেমন কোন সমস্যায় পরতে হয় না।

২।স্পিকার/সাউন্ড টেস্ট

কোয়াড স্পিকার সাউন্ড সিস্টেম যথেস্ট লাউড এবং ক্লিয়ার। সো যেকোন টাক্সের জন্য স্পিকারটা এনাফ। সাইজ অনুযায়ী বেস ভালোই, তবে সাব ঊফার কোয়ালিটি আশা করলে হতাশ হবেন। চলুন একটু শুনে নেই স্পিকার এর সাউন্ড কোয়ালিটি, রেকর্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জুম এইচ৫ কন্ডেন্সার মাইক্রোফোন।

ডানদিকে ইউএসবি টাইপ-এ ৩.১ এবং থান্ডারবোল্ট ৩, বামদিকে ইউএসবি টাইপ সি ৩.১ জেন ২, ইউএসবি টাইপ এ ৩.১ এবং একটি হেডফোন জ্যাক দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য ডানদিকের থান্ডারবোল্ট ৩ হাইস্পীড পোর্ট। এখানেও এপলের চেতনার চাপে কার্ড রিডার এর মত কনভিনিয়েন্ট পোর্ট বাদ দেয়া হয়েছে যা প্রফেশনালদের জন্য তৈরি এই ল্যাপটপে খুবই কাজে আসত। তারমানে এক্সট্রা পোর্টের জন্য আপনাকে টাইপ সি হাব ব্যবহার করতে হবে।

৩।ডিসপ্লে এন্ড ব্যাটারি

ডিসপ্লে অপ্সহন থাকছে দুটি, একটি ম্যাট এফেইচডি এবং আরেকটি গ্লসি ৪কে ইউএচডি টাচস্ক্রীন। আমাদের রিভিউ ইউনিটটি ৪কে রেসুলেশনের টাচ ডিস্প্লে ভ্যারিয়েন্ট। যদিও ১৩ ইঞ্চের মধ্যে এফেইচডি আর ৪কে এর রেজুলুশ্নের তফাত প্র্যাক্টিকালি ধরা সম্ভব না। দুইটি ডিস্প্লেই ১০০% এসআরজিবি। ৪কে প্যানেলটি গ্লসি হবার কারনে ইমেজ যথেস্ট শার্প এবং ভাইব্রেন্ট। যদিও ৪কে ভার্সনকে পাওয়ার আপ করতে এর ব্যাটারি ব্যাকাপ অনেকটা কমে যায়। আবার গ্রাফিক্স মডেল গুলোতেও এম এক্স ১৫০ গ্রাফিক্স কার্ড থাকার কারনে পাওয়ার কঞ্জাম্পশন বেশি। আমাদের মডেল্টিতে আমরা ওয়েব সার্ফিং এবং ওয়াইফাই কানেক্টেড অবস্থায়, ফুল ব্রাইটনেসে সাধারন ব্যবহারে ৬-৭ ঘণ্টার মত ব্যাক আপ পেয়েছি। কিন্তু হেভি লোডে ফুল ব্রাইটনেসে ব্যাক আপ দেড় ঘণ্টায় নেমে আসে। ৬৫ ওয়াট পাওয়ার এডাপ্টার দিয়ে ফুল চার্জ দিতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে বেস মডেলটি আমাদের কাছে না থাকলেও রেজার ক্লেইম করেছে সেটিতে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারী ব্যাক আপ পাওয়া যাবে।

৪।স্পেস এবং পারফর্মেন্স

CPU: Quad-Core 8th Gen Intel Core i7-8565U

Graphics: NVIDIA GeForce MX150 4GB GDDR5

RAM: 16GB LPDDR3 2133MHz dual-channel onboard memory

Storage: 512GB PCIe M.2

Connectivity: Intel Wireless-AC 9560 (IEEE 802.11a/b/g/n/ac), Bluetooth 5.0

Battery: 53.1Wh

৫।গেমিং

আমরা পরীক্ষা করেছি বেশ কিছু গেম এবংসিনথেটিক বেঞ্ছমার্ক, যেগুলো স্ক্রীনে দেখতে পাচ্ছেন। ওভারল গেম খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ল্যাপটপটি গেমইং ক্যাপাবল কিন্তু আসাধারন কোন গেমিং পারফরমেন্স দিতে সক্ষম নয়। সব গুল বেঞ্ছমার্ক করা হয়েছে ১০৮০পি লো সেটিংস এ। আমাদের ইউনিট টি ৪কে হওয়ায়, এমেক্স ১৫০ দিয়ে গেমিং এর চিন্তা আমরা আগেই বাদ দিয়েছিলাম তাই ৪কে কোন বেঞ্ছমার্ক দেখতে পাবেন না। তবে ১০৮০পী লো সেটিংস এ এভারেজ গেমিং সম্ভব। আর ই স্পোর্টস কম্পিটিটিভ গেমগুলোরও একই অবস্থা, সবগুলোই লো সেটিন্গসে খেলা সম্ভব। এইভাবে বিচার করলে কোন ভাবে এর সাথে গেমিং ল্যাপটপ বিশেষণ টি যায় না।


এই ছিলও রেজার ব্লেড স্টেলথ  মডেলের ল্যাপটপ এর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য । আশা করি তথ্য গুলো আপনাদের কাজে আসবে। এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন