কেন জেনুইন উইন্ডোজ ব্যবহার করবেন?

০২ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৫৫:৪৩
কেন জেনুইন উইন্ডোজ ব্যবহার করবেন?
কেন জেনুইন উইন্ডোজ ব্যবহার করবেন?

সবাইকে স্বাগতম projukti.com.bd তে। নিয়মিত লেখা গুলোর মাধ্যমে আমরা টেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত নানা তথ্য ও টিপস দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আজকে আমি যে বিষয়ে আপনাদের লিখছি হয়তো টাইটেল দেখেই সকলে বুঝে গেছেন এবং অনেকে আমাকে মনে মনে গালিও দিচ্ছেন। ভাবছেন এত বছর ধরে পাইরেট উইন্ডোজ ব্যাবহার করছি কোন সমস্যাই হয় নাই। আজকে উনি আসছে আমাদের জ্ঞান নিতে।

তাহলে শুনুন আপনারা আসলে খুব সুখে আছেন যে টাকা খরচ করে জেনুইন উইন্ডোজ ব্যাবহার করতে হচ্ছে না তবে আপনাদের জন্য দুক্ষের সংবাদ হচ্ছে – আপনারা অনেক বড় সিকিউরিটি রিস্কে আছেন। আসলে আমরা কম্পিউটারের মধ্যে আমাদের পার্সোনাল অনেক ডাটা রাখি এবং মাঝে মাঝে দেখাই আমরা অনেক সচেতন। পিসিতে পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করি যাতে কেও আমাদের ডাটা এক্সেস না করতে পারে। অনেকে আবার টাকা খরচ করে এন্টিভাইরাস কিনে ব্যাবহার করেন। এখন আরেক শ্রেণীর মানুষ আমাকে আবারও গালি দিচ্ছেন কারন তারা মনে করেন পাইরেট উইন্ডোজ এ থাকা Windows Defender দিয়েই তারা সেইফ আছেন। বেপারটা এমন গোঁড়ায় গলদ থাকলে যা হয় আর কি।

তো কথা না বাড়িয়ে চলুন আপনাদের কিছু দিক বর্ণনা করে দেখাই কেন জেনুইন উইন্ডোজ ব্যাবহার করা গুরুত্বপূর্ণ -

১। ডাটা সিকিউরিটিঃ যে যাই বলেন না কেন, আমি প্রথমে ডাটা সিকিউরিটিকে প্রাধান্য দিচ্ছি। কারন আমাদের সকলের প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। আপনার পিসিতে আপনি অনেক অনেক পার্সোনাল ডাটা সংরক্ষন করতে পারেন, অনেকে অফিসের কনফিডেন্সিয়াল ডাটা সংরক্ষণ করেন, কিন্তু কখন চিন্তা করেছেন? যদি আপনার ডাটা অন্য কারও হাতে চলে যায় তখন কি হতে পারে? আপনি যখন ওরিজিনাল উইন্ডোজ কিনে ব্যাবহার করেন তখন উইন্ডোজ এর নির্মাতা প্রতিস্থান Microsoft হাতে এর কাছে আপনার সম্পূর্ণ পিসি অপারেটিং সিস্টেম এর এক্সেস চলে যায়। আর মাইক্রোসফট এর মত একটি বড় প্রতিষ্ঠানকে আপনি চোখ বুঝে বিষাস করতে পারেন কারন তারা ডাটা সিকিউরিটি এর সকল আইন মানতে বাধ্য। অপরদিকে যখন আপনি পাইরেট উইন্ডোজ এক্টিভেট করে ব্যাবহার করছেন তখন আপনার পিসির সকল এক্সেস চলে যাচ্ছে অপরিচিত কোন হ্যাকারের কাছে। কারন উইন্ডোজ পাইরেট করাই হয় হ্যাক করার মাধ্যমে এবং তারা ডাটা সিকিউরিটি আইন মানতে মোটেও বাধ্য নন। তাই আপনি আপনার কনফিডেন্সিয়াল ডাটা পরোক্ষভাবে তুলে দিচ্ছেন হ্যাকারদের হাতে, যা খুবই বিপদজনক।

২। সফটওয়্যার সাপোর্টঃ জেনুইন উইন্ডোজ ব্যাবহার করলে আপনি আপনার সফটওয়্যার জনিত যেকোনো সমস্যার সাপোর্ট মাইক্রোসফট থেকে অনলাইন অথবা ফোনে পাবেন।  এছাড়া রেগুলার উইন্ডোজ আপডেটের মাধ্যমে আপনি উইন্ডোজ এর যেকোনো সফটওয়্যার এর আপডেট পাবেন যাতে আপনার উইন্ডোজ আরও স্মুথ ভাবে রান করতে পারে।

৩। ক্ষতিকারক ভাইরাস থেকে সুরক্ষাঃ আপনি যখন পাইরেট উইন্ডোজ আক্টিভ করেন তখন উইন্ডোজ ডিফেন্ডার অথবা সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগই বন্ধ রাখতে হয় এবং অনেক সময় এক্টিভ করার পর আর উইন্ডোজ ডিফেন্ডার চালু হয় না। এতে যেকোনো ছোটোখাটো ম্যালওয়্যার সহ যেকোনো ভাইরাস  অ্যাটাক থেকে আপনার পিসি অরক্ষিত হতে পারে। জেনুইন উইন্ডোজ আপনাকে ভাইরাস থেকে বাড়তি সুরক্ষা দিবে এবং রেগুলার আপনাকে সিকিউরিটি সম্পর্কিত আপডেট দিবে।

৪। সিস্টেম ফাইল মিসিং: অনেক সময় দেখবেন পাইরেট উইন্ডোজ ব্যাবহার করতে করতে ফাইল মিসিং সহ অনেক রকমের এরর দেখাবে। সিস্টেম এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল মিসিং হয়ে অনেক সময় সিস্টেম ফেইলউর হতে পারে। তখন আপনাকে বাধ্য হয়েই পুরনায় উইন্ডোজ সেটআপ দিতে হবে। অনেক সময় সি ড্রাইভে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা ব্যাকআপ না থাকলে হারাতে পারেন আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটা।  

৫। কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়াঃ আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে ওরিজিনাল উইন্ডোজ আপনাকে রেগুলার গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম সফটওয়্যার এর আপডেট দিবে। যাতে পুরাতন কোন বাগ থাকলে তা ঠিক হয় এবং আপনার উইন্ডোজ আরও স্মুথ ভাবে পারফর্ম করে। অপরপক্ষে পাইরেট উইন্ডোজ আপনার কম্পিউটারের পারফর্মেন্স দিনে দিনে আরও স্লো করে দিবে। এছাড়াও পাইরেটেড উইন্ডোজ নিয়মিত হাং করে কাজের গতি কমিয়ে দেয়।

সর্বপরি, পাইরেট উইন্ডোজ ব্যাবহার করছেন মানে হচ্ছে আপনার ডাটা অন্য হ্যাকারদের হাতে। পরোক্ষভাবে তারা চাইলেই আপনার সকল তথ্য লিক করতে পারে এবং আপনাকে ফেলতে পারে হুমকির মুখে। এছাড়াও বর্তমানে বিপজ্জনক RANSOMWARE এর বিপজ্জনক হুমকিতে আছে পাইরেট উইন্ডোজ ব্যবহারকারীগন। আজ এই পর্যন্তই নতুন নতুন আরও এমন লিখা পেতে  projukti.com.bd এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন