কেন ব্যাবহার করবেন এসএসডি?

০২ এপ্রিল ২০২০ ০৮:০৬:০৮
কেন ব্যাবহার করবেন এসএসডি?
কেন ব্যাবহার করবেন এসএসডি?

Projukti.com.bd তে আপনাকে স্বাগতম। আমরা আপনাদেরকে নিয়মিত লেখা গুলোর মাধ্যমে টেকনোলোজির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত নানা তথ্য ও টিপস দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আজকে আপনাদেরকে জানাবো এস এস ডি ব্যাবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে আপনি তো হার্ডডিস্ক ব্যবহার করছেন তাহলে আবার এস এস ডি কেনও ব্যাবহার করবেন? আপনাদের এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে পুরো লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

এস.এস.ডি কি?

এস.এস.ডি হচ্ছে এক প্রকার স্টোরেজ ডিভাইস। কিছুটা হার্ডডিস্ক এর মতই। তবে হার্ডডিস্ক এ স্পিনিং ডিস্ক থাকে কিন্তু এস এস ডি তে থাকে মেমোরি চিপ। অর্থাৎ যেই মেমোরি চিপ আমরা মোবাইল এ ব্যবহার করি মেমোরি কার্ড হিসেবে। কিন্তু এসএসডি মেমোরি কার্ড থেকে অনেক উন্নত। এটির রিড রাইট করার ক্ষমতা অনেক বেশি এবং এটি অনেক পাওয়ার ফুল।

কি কারনে এসএসডি ব্যবহার করবেন?

যারা হার্ডডিস্ক ব্যবহার করেন তারা হয়তো ভাবতে পারেন যে আমি তো হার্ডডিস্ক ব্যবহার করি আমি কেনও খামাকা এটি ব্যবহার করতে যাবো? তাহলে আপনাকে বলছি আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে থাকেন  তাহলে আপনার অবশ্যই গতি সম্পূর্ণ স্টোরেজ ড্রাইভ দরকার। তবে যারা ভিডিও এডিটিং করেন না এসএসডি তাদের জন্য ও প্রয়োজন কারন আমরা বেশিরভাগই কম্পিউটার দিয়ে ভিডিও গেম খেলি বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকি। এই জন্য এটি ব্যাবহারের ফলে আপনার স্টোরেজ ড্রাইভ হবে আরও গতি সম্পূর্ণ এবং তখন গেম খেলার সময় গেম প্লে হবে আরও স্মুথ। আর ওয়েব পেজ গুলিও দ্রুত লোড নিবে।

অন্যান্য যেসব কাজে এস এস ডি ব্যাবহার করা হয়।

এসএসডি এর আরও অনেক কাজ আছে যেমন এটি থাকলে আপনার উইন্ডোজ অনেক তারাতারি ওপেন হবে। আবার যেকোনো সফটওয়্যার রান করতেও তুলনা মূলক কম সময় লাগবে। অর্থাৎ আপনি পাচ্ছেন একটি দ্রুত গতি সম্পূর্ণ কম্পিউটার। এসএসডি আপনি চাইলে ল্যাপটপ বা আপনার ডেক্সটপ কম্পিউটার এ ব্যবহার করতে পারবেন।

স্পীডঃ

যারা এস এস ডি কেনেন তাদের ৯৫% ই মূলত কেনেন ভালো স্পীড পাওয়ার জন্য। এসএসডি সাধারন হার্ডডিস্ক এর চেয়েও দ্বিগুণ বা এর চেয়েও ফাস্ট। আসুন দেখে নেই এসএসডি এবং হার্ডডিস্ক এর স্পীড পার্থক্য।

ব্যান্ডউইথ স্পীডঃ 

ল্যাপটপ হার্ডডিস্ক = ১২৫ মেগাবাইট/সেকেন্ড

ডেক্সটপ হার্ডডিস্ক = ২০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

এস এস ডি  (SSD)= 500  মেগাবাইট/সেকেন্ড

ইনপুট/আউটপুট পারফরমেন্সঃ 

ল্যাপটপ হার্ডডাইভ= ১০০

ডেক্সটপ হার্ডডাইভ= ৩০০

এস এস ডি  (SSD)= ১ লক্ষ

প্রতি সেকেন্ডে কি পরিমান আউটপুট ইনপুট নেওয়া হয়, সেটার পরিমান যত বেশি তত ভালো।

রেসপন্স টাইমঃ 

ল্যাপটপ হার্ডডাইভ= ১২ মিলিসেকেন্ড

ডেক্সটপ হার্ডডাইভ= ৬ মিলিসেকেন্ড

এস এস ডি  (SSD)= ০.৫ মিলিসেকেন্ড


এস এস ডি এর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হল,

১। অনেক কম পাওয়ার খরচ করে।

২। হার্ডডাইভ এর তুলনায় গরম কম হয়।

৩। ওজনে হার্ডডাইভ এর অর্ধেক

৪। সাইজেও কম।

৫। ভেতরে কোন মেকানিক্যাল পার্টস নেই তাই কোন শব্দ ও হয়না।


এস এস ডি যাদের জন্য অনেক বেশি সুবিধাজনক হতে পারেঃ

১। গেমারঃ গেম ইন্সটল ও লোড হতে সময় কম নিবে।

২। গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ অনেক ফাস্ট ফাইল কনভার্ট, ওপেন ও সেভ করা যাবে।

৩। প্রোগ্রামারঃ কোড এডিটর এবং আইডিগুলো সব এস এস ডি থেকে রান করালে অনেক ফাস্ট কাজ করবে।

৪। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারঃ ভারী অডিও সফটওয়্যার এবং ফাইলের ক্ষেত্রে অনেক কাজে আসবে।

৫। ভিডিও এডিটরঃ এ ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হবে।

এসএসডি সেটআপঃ

এটি খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া। দোকান থেকে একটি এসএসডি কিনে এনে হার্ডডিস্ক এর পাওয়ার কর্ড আর সাটা ক্যাবল লাগিয়ে দিন কাজ শেষ। আরও সহজে বলতে গেলে হার্ডডাইভ এ যে দুটো ক্যাবল লাগানো থাকে সেই দুটোই এসএসড তে লাগবে।

এসএসডি সেটআপের সব চেয়ে আইডিয়াল অবস্থা হল কম্পিউটারে এক বা একাধিক হার্ডডাইভ রাখা ডাটা স্টোরেজ করার জন্য। আরেকটি এসএসডি থাকবে অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য এপ্লিকেশন রাখার জন্য।

আজ এই পর্যন্তই, আরও নতুন নতুন এমন লিখা নিয়ে আবারও আসবো projukti.com.bd তে। সাথে থাকবেন আশা করছি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন